মোঃ আহসান হাবীব সুমন, জামালপুর প্রতিনিধি: প্রতি বছরের নেয় আসছে বাঙ্গালী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় প্রাণডালা আনন্দ মুখর উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

এই শরৎতের নির্মল প্রকৃতির নীল আকাঁশ, প্রকৃতির সবুজের সমারোহে সাঁদা সাঁদা কাঁশফুলে, শিউলির মন মাতানো সুগন্ধী, রাশি রাশি বাহারি রঙ্গের জবা যেমন মা দুর্গার অপরুপ এক সাজ ।

ঢাকের বাদ্য আর প্রতিমা তৈরিতে কারিগরের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা।

আগামী ২০ অক্টোবর (শুক্রবার) মহাষষ্ঠীর মধ্যে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।সারা দেশের মতো প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন জামালপুর জেলা মেলান্দহ থানার নয়ানগর ইউনিয়ন পাল পাড়ায় মৃৎশিল্পীরাও।

এ উৎসবকে ঘিরে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে পাশাপাশি চলছে মণ্ডপ সাজানোর কাজ।এখন শারদীয় উৎসবে মেতে উঠার অপেক্ষায় সনাতন ধর্মালম্বী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

শাস্ত্রমতে এবার দেবীদুর্গা ঘোটকে আগমন করে পালকিতে চড়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন।

আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা শিল্পীরা কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রুপ দিতে রাতভর করছেন প্রতিমা তৈরির কাজ।নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তৈরি করছেন প্রতিমা।

পূজার সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ব্যস্ত হয়ে পরছেন প্রতিমা শিল্পীরা।

জামালপুর জেলা মেলান্দহের উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রথম পর্যায়ে প্রস্তুতি হিসেবে মন্ডপগুলোতে দূর্গা প্রতিমার মাটির কাজ শুরু করেছে। শেষ পর্যায়ে মূর্তিতে রং-তুলির আঁচড়ের কাজ চলবে। অন্য দিকে সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি ও ডেকোরেশন সহ অন্যান্য কাজগুলোও ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে।

দূর্গা প্রতিমা ছাড়াও মণ্ডপের জন্য তৈরি করা হচ্ছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর,
সিংহ, মহিষ,পেঁচা,হাঁস,সর্পসহ প্রায় ১০-১২ টি প্রতিমা।

জামালপুর জেলা মেলান্দহের নয়ানগর ইউনিয়ন পালপাড়া এলাকার মন্ডপের প্রতিমা তৈরির কারিগর উজ্জল কুমার পাল বলেন, এখন প্রতিমা ফিনিশিংয়ের কাজ করছি,এরপর রংয়ের কাজ শেষ করবো।